দিন দিন সারাবিশ্বে বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকিউলার বায়োলজির ক্ষেত্র ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে। বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজির গবেষণা শুধু বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের অনুসন্ধান করছেনা, বরং যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে এমন সমস্যাগুলো নিপুণভাবে ও আনবিক লেভেলে সমাধান করছে। ইদানিং ডিএনএ, আরএনএ, প্রোটিনসহ ইত্যাদি জৈব অণুর সংশ্লেষণ ও নিয়ন্ত্রণ, অণুগুলোর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া; কোষ, কোষচক্র ইত্যাদির উপর গবেষণার মাধ্যমে আণবিক লেভেলে কোন রোগের কারণ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে।
বর্তমানে ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং প্রযুক্তির দ্বারা কোন অপরাধের প্রকৃত অপরাধী নির্ণয়, পিতৃত্ব/মাতৃত্ব-নির্ণায়ক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মাতাপিতা নির্ণয় করা, জেনেটিক লেভেলে জিনের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্টের জীব উৎপাদন করা, জিন গবেষণার মাধ্যমে কাছাকাছি বা দূরের গোত্রের জীবের মধ্যে আণবিক সম্পর্ক নির্ণয় করা, জীবের বিবর্তনের ইতিহাস জানা ইত্যাদি সম্ভব হচ্ছে।
মলিকিউলার মেডিসিন সেক্টরে পার্সনলাইসড ড্রাগ উন্নয়নের মাধ্যমে শুধু বিশেষ ব্যক্তির জন্য ড্রাগ উৎপাদন সম্ভব। যেহেতু সম্প্রতি হিউম্যান জিনোম উন্মোচিত হয়েছে, তাই বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকিউলার বায়োলজি মানুষের উপর গবেষণার জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। সুতরাং এদেশের বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের জন্য বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজির উপর গবেষণা প্রয়োজন, এ ধরনের গবেষণায় বায়োমেডিক্যাল এন্ড টক্সিকোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট – এর বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি ডিভিশন অগ্রপথিক হিসাবে কাজ করবে।